May 12, 2008

বিশ্বের বিচিত্র বৃক্ষরাজি

প্রকৃতিতে আমাদের কাছের আর সবচেয়ে উপকারী বন্ধুটির নাম গাছ। গাছের ফুল-পাতা-ফল সবই আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। কারণ আমরা বেঁচে থাকার জন্য কোনো গাছের ফল, কোনো গাছের ফুল আবার কোনো গাছের পাতা খাবার হিসেবে গ্রহণ করি। আর বেঁচে থাকার সবচেয়ে বড় উপাদান অক্সিজেনও পাই গাছ থেকেই। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপাদান, পরিবেশবান্ধব এ গাছের রয়েছে বৈচিত্র্যময় বিশালতা, যা আমাদের কল্পনাশক্তিকেও হার মানায়। হার মানায় এ কারণে যে, আমাদের দেশে একমাত্র ‘বট’ ছাড়া অন্য কোনো গাছের তেমন একটা বিশালতা নেই। কিন্তু এমন যদি হয়, একটি গাছকে ধরতে ৩৩ জন লোককে হাত ধরাধরি করে দাঁড়াতে হয়, তাহলে ব্যাপারটি বিস্ময়ের নয় কি? হ্যাঁ, গাছটির নাম ‘বাওবাব’। আফ্রিকার এ গাছটির গোড়ার ঘের সর্বোচ্চ ৫৪.৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এই গাছের গুঁড়ি ১০ হাজার লিটার পর্যন্ত পানি ধরে রাখতে পারে, যা শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয় অধিবাসীদের কাজে লাগে। ইউক্যালিপটাস গাছ আমাদের দেশেও আছে। তবে সবচেয়ে লম্বা ইউক্যালিপটাস গাছটি পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়ায়। এর উচ্চতা ১৩২.৫ মিটার। ভাবা যায়! উচ্চতার দিক দিয়ে সিকোইয়া গাছও কম নয়। এ গাছ ১০০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পৃথিবীতে সবচেয়ে পুরনো গাছের বয়স কত জানেন? ৪ হাজার ৭০০ বছর! মিথিউসেলা নামে এ গাছটি নাকি আরো ৮০০ বছর বেঁচে থাকবে! গাছটির অবস্থান মেক্সিকোতে। সবচেয়ে দ্রুত বাড়ে এমন গাছের বাড়ি আবার মালয়েশিয়ায়।
‘আলবিজিয়া ফ্যালকাটা’ নামে এ গাছেরা মাত্র ১৩ মাসে ১০.৪৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। আবার সবচেয়ে কম বর্ধনশীল গাছের নাম ‘ডিউন হডিউল’। এটি বছরে বাড়ে মাত্র .৬৭ মিলিমিটার।
গাছ কি কখনো নিঃসঙ্গ হয়? উত্তরটা স্বভাবতই ‘না’। কারণ কোনো গাছ বিচ্ছিল্পুভাবে জন্মালেও দূর থেকে অন্যান্য গাছের সঙ্গে তার দেখা-সাক্ষাৎ হয়। কিন্তু ১৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে যে গাছের প্রতিবেশী নেই, তাকে তো নিঃসঙ্গ বলতেই হবে। অ্যান্টার্কটিকায় পাওয়া গেছে এমন একটি গাছ। গাছটি বরফের প্রান্তরে বছরের পর বছর একলা দাঁড়িয়ে থেকে পরিচিত হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ গাছ হিসেবে।
খবর নেয়া হয়েছে সমকাল ১২ মে তারিখ থেকে।

0 comments:

Post a Comment