বাইক্কা বিলে কটন টিলের সংসার
৩০ জুলাই, ২০০৭
দেশে প্রথম বারের মত কাঠের তৈরী নীড়ে ছানা ফুটিয়েছে বালি হাঁস। শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে বুনো পাখির জন্যে নীড় গড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই নীড়ে সুখের সংসার সাজিয়েছে "কটন পিগমীগুজ" বা "কটন টিল" নামের কয়েকজোড়া বালি হাঁস। শুধু সংসারই সাজায়নি। ডিম থেকে ছানাও ফুটিয়েছে। এটি দেশে একটি বিরল ঘটনা বলে জানিয়েছে মাচ প্রকল্প।
হাইল হাওরে জলজ প্রাণীর অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলের এই ঘটনা দেশে প্রথম। এ দাবি করেছেন ম্যানেজমেন্ট অব অ্যাকোয়াটিক ইকোসিস্টেম থ্রু কমিউনিটি হাসবেনড্রি’ (মাচ) প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
মাচ প্রকল্পের শ্রীমঙ্গল কো-অর্ডিনেটর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশেষভাবে তৈরি কাঠের ১২টি বা বাইক্কা বিলের বিভিন্ন অংশে স্থাপন করা হয়। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে বাঙ্গুলো স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের সাইট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, বাঙ্গুলো স্থাপনের দুইবছর পর গত এপ্রিল মাসে এগুলোকে ঘিরে বালি হাঁসের আনাগোনা ল্ক্ষ করে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন। বাঙ্গুলো আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেণ করতে থাকেন।
জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাঁখিদের ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। খোঁজ নিয়ে দেখেন পাঁচটি বাক্সে ৩-৪ জোড়া করে ছানা ফুটেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে "কটন টিল" বা "কটন পিগমীগুজ" জাতের হাঁস, যাকে স্থানীয়ভাবে বালি হাঁস নামে সবাই চেনে।
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এপ্রিল-জুন মাসে একেকটি বালি হাঁস ৮-১০টি ডিম পাড়ে। হাওরে পাখিদের বসবাসের উপযোগি গাছ-গাছালি সৃজন করতে পারলে, এদের নির্ভয়ে চলাচলের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে শুধু বালি হাঁসই নয় অন্যান্যজাতের পাখিরাও হাওরে স্থায়ীভাবে সংসার সাজাবে।
মাচ প্রকল্পের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এই ঘটনাটিকে পরিবেশবিদ ও পাখি প্রেমিরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। সম্প্রতি কয়েকজন বাইক্কা বিল ঘুরে এদের (বালি হাঁস) নতুন সংসার দেখে গেছেন। মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীবিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড· মনিরুল এইচ খান, ডা· রোনাল্ড হালদার প্রমুখ।
সূত্র: নিসর্গ.কম
0 comments:
Post a Comment