কক্সবাজারে জলচর পাখি শুমারি, ২০০৭
গত ২৭-২৮ ডিসেম্বর কক্সবাজারে পরিচালিত হল দুইদিনব্যাপী জলচর পাখি শুমারি। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও মহেশখালীর সোনাদিয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত দুই দিনের এই শুমারিতে টেকনাফ অঞ্চলে ২৯ প্রজাতি ও সোনাদিয়ায় ৩৬ প্রজাতির জলচর পাখির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
শুমারি সমন্বয়কারী পরিবেশ অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হান্নান জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপকূলীয় ও জলাভূমি জীববৈচিত্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধীনে দেশের ৩টি স্থানে জলচর পাখির শুমারি করা হচ্ছে। এই তিনটি স্থান হল- কক্সবাজারের টেকনাফ ও সোনাদিয়া এবং সিলেটের হাকালুকি হাওর।
স্পট টেকনাফ
গত বৃহস্পতিবার টেকনাফ থেকে ২০০৭ সালের পাখি শুমারি শুরু হয়েছে। জলচর পাখি শুমারিতে নিয়োজিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সাবেক নিয়ন্ত্রক শীতল কুমার নাথ জানান, প্রথম দিন টেকনাফ থেকে নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত ১৪ প্রজাতির ১ হাজার ২১০টি ও শাহপরীর দ্বীপের বদর মোকাম এলাকায় ২৯ প্রজাতির ১ হাজার ৪৬টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, প্রথম দিনের শুমারিতে লিটল টার্ন প্রজাতির সর্বোচ্চ ৪১৪টি ও লেসার স্যান্ড প্লোভার প্রজাতির ২৪২টি পাখির সন্ধান মিলে।
স্পট সোনাদিয়া
সমন্বয়কারী আবদুল হান্নান জানান, কক্সবাজার জেলায় শুমারির শেষ দিনে 'কমিউনিটি বার্ড কনজারভেশন এরিয়া' ঘোষিত মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে পাখি গণনা করা হয়। সকাল ১০টা পর্যন্ত একটি স্পটে ৮ প্রজাতির ১২১টি পাখি পাওয়া যায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৩টি পাওয়া গেছে কেনটিশ প্লোভার। তাঁর মতে সোনাদিয়া দ্বীপে ৩৬ প্রজাতির প্রায় ৪ হাজার পাখি রয়েছে। তবে গত দু'দিনের শুমারিতে নতুন প্রজাতির কোন পাখি পাওয়া যায়নি।
অন্যান্য
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপকূলীয় ও জলাভূমি জীববৈচিত্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সুমন জানান, দেশে বিগত ৫ বছর ধরে পাখি শুমারি হচ্ছে। পাখি শুমারি অনুসারে দেশে অন্তত ৮০০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। তিনি জানান, পাখির সংখ্যা কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। পাখি বাড়া কমার ওপর পরিবেশের অবস্থা নির্ণয় করা যায়। যখন দেশে পাখির সংখ্যা বাড়বে তখন নিশ্চিতভাবে ধরে নেয়া যায় পরিবেশের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কমলেই ধরে নেয়া যায় পরিবেশের অবনতি ঘটেছে।
সূত্র: নিসর্গ
0 comments:
Post a Comment