লোকালয়ে আরেকটি লজ্জাবতী বানর
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজসংলগ্ন আবাসিক এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আরেকটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। কলেজ সড়কের বাসিন্দা এ এস এম কিবরিয়ার বাড়িতে বানরটি দেখতে পেয়ে ওই বাড়ির গৃহকর্মী ও এলাকাবাসী মিলে বানরটিকে আটক করে। পরে এটিকে পশুপাখিপ্রেমী সিতেশ রঞ্জন দেবের চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়।
সিতেশ রঞ্জন দেব বলেন, ‘শুধু এই লজ্জাবতী বানরই নয়, গত কয়েক দিনে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে কাক, ধনেশ, গন্ধগোকুল, মেছো বাঘ লোকালয়ে এসে ধরা পড়েছে। উদ্যানে জীবজন্তুর খাবারের অভাব। তাই তারা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান আগে লাল ডুমুর, পিপিড় ফল, কাউফল, ভুবি, লটকন, লক্ষ্মী আম−এসব ফলগাছে ভরা ছিল। কিন্তু এখন এসব গাছের বড্ড অভাব। বনে খাদ্যের জোগান দিতে না পারলে সেখানে পশুপাখি থাকবে না।’
বন বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, লাউয়াছড়ায় আগে কী পরিমাণ ফলগাছ ছিল, সে তথ্য তাঁর জানা নেই। তবে উদ্যানে বন বিভাগ ফলগাছ রোপণ করেছে এবং এখনো করছে।
লোকালয়ে লজ্জাবতী বানরের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা বলেন, লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে বাঁশে ফুল গজানোয় বাঁশঝাড়গুলো মরে গেছে। বাঁশঝাড়গুলো ছিল লজ্জাবতী বানরের আশ্রয়স্থল। আশ্রয়স্থল ধ্বংস হওয়ায় বানরগুলো লোকালয়ে চলে যেতে পারে।
এর আগে গত শুক্রবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাড়াউড়া গ্রামের বাসিন্দা অনু মিয়ার বাড়িতে একটি লজ্জাবতী বানর আটক করা হয়। বানরটি উদ্ধার করে সিতেশ রঞ্জন দেব তাঁর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসেন।
<> প্রথম আলো। ৩০ মে ২০০৮
1 comments:
what is english name of লজ্জাবতী বানর
Post a Comment