বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: দেবাশীষ রায়
ঢাকা, মে ২৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- দেশের বনভূমি বাড়ানো এবং তা সংরক্ষণের জন্য জাতীয় বন নীতি এবং বন আইন যুগোপযোগী করার কথা জানিয়েছেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে নতুন আইনও প্রণয়নের পক্ষে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী। বন বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলা-২০০৮ উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেবাশীষ রায় বলেন, "সময়ের প্রয়োজনে জাতীয় বন নীতি এবং বন আইনকে যুগোপযোগী করে তুলবে সরকার। এছাড়া বন বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও সংস্কার করা হবে। আমরা কিছু ইস্যু তুলে দিয়ে যেতে চাই। ভবিষ্যতের সরকার এসে তা এগিয়ে নেবে।"
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবাশীষ রায় বলেন, "নিজের বাগানের গাছ কেটে বিক্রি করতে গেলেও বন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এ জন্য অনেকে হয়রানির পাশাপাশি দুর্নীতিরও শিকার হতে হয়। এই ধরনের আরও অনেক বিষয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।"
শনিবার থেকে দেশে তিন মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলা-২০০৮ শুরু হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ এ কর্মসূচি উদ্বোধন করনে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়-"বৃক্ষরোপণ করবে হ্রাস, ঝড়-ঝঞ্ঝা-জলোচ্ছ্বাস"।
সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছর ১২ হাজার হেক্টর জমিতে নতুনভাবে বনায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর জমি যৌথবাহিনীর সহায়তায় দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখন সারাদেশে বন বিভাগের ৩২ থেকে ৪০ হাজার হেক্টর জমি অবৈধ দখলে রয়েছে।
আগামী পাঁচ বছরে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে আরও এক লাখ হেক্টর জমিতে বনায়ন করা হবে বলে বন কর্মকর্তারা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, চলতি বছরে চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি। বন বিভাগসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এটা বাস্তবায়ন করবে। এ জন্য বন বিভাগসহ বিভিন্ন নার্সারিতে ১৯ কোটি চারা মজুদ রাখা হয়েছে।
সম্মেলনে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির, প্রধান বন সংরক্ষক এ কে এম শামসুদ্দিন ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/পিসি/এমআই/১৩২৮ ঘ.
0 comments:
Post a Comment